Header Ads

test

ইটনা উপজেলা,কিশোরগঞ্জ।




কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলাটির আয়তন ৪০১.৯৪বর্গ কি.মি.যার উত্তরে মদন ও কালিয়াজুরি উপজেলা,দক্ষিনে মিঠামইন এবং করিমগঞ্জ উপজেলা; পূর্বে আজমিরীগঞ্জ ও সোল্লাহ উপজেলা আর পশ্চিমে তারাইল ও করিমগঞ্জ উপজেলা।



প্রধান নদী সমূহঃ
ধানু,সুরমা,বাউলাই,কালনী এবং বারুনী।প্রধান বিল মাউরা, চাপরা,বোয়ালি,কাইরা,উগ্লী,সোনাবান্দা, ঘোড়া।


ইটনা শহরঃ
শহরটির আয়তন ৩৭.৭২বর্গ কিমি,এতে মৌজা আছে ৫ টি। এর লোকসংখা ২০২১৬জন;পুরুষ ৫২.৪০%,মহিলা ৪৭.৬%। শহরের স্বাক্ষরতার হার ৪১%।এতে ১টি ডাকবাংলো আছে।


প্রশাসনঃ
বর্তমানে ইটনা থানা একটি উপজেলা যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৭ সালে। এতে ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ,৮৫টি মৌজা,১১৭টি গ্রাম আছে।


ঐতিহাসিক ঘটনাবলীঃ
স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি আর্মি জয়সিন্ধু উপাজিলার বয়রা গ্রামের অনেক নিরীহ জনসাধারনকে মেরে ফেলে।মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের বয়রা গ্রামের গণকবর।


মুক্তিযুধের স্মৃতিচিন্হ: গনকবর ১টি।
জনসংখ্যাঃ ১৩২৯৪৮; পরুষ ৫২.১৪%, মহিলা ৪৭.৮৬%; মুসলিম৮০%, হিন্দু ১৮%, বৌদ্ধ০.১২%, খ্রীষ্টান০.১২%;অন্যান্য ১.৭৬%।


স্বাক্ষরতা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানঃ
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ২৪.৮%; পুরুষ ২৮.১%, মহিলা ২১.২%। কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৩, কিন্ডার গার্টেন ৩, মাদ্রাসা ২১, মক্তব ১৩৭। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ইটনা মহাবিদ্যালয় (১৯৯৮), মহেশ চন্দ্র শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৩), থানেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪৭), জয়সিদ্ধি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৪), ইটনা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৮৪), চৌগাংগা ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৬২)।

সাংস্কৃতিক সংগঠনঃ
অফিসার্স ক্লাব ১টি,যুব সংগঠন ১টি,নারী সংগঠন ১টি,সাংস্কৃতিক সংগঠন ১টি, কমিউনিটি সেন্টার ১টি।


প্রধান পেশাসমূহঃ
কৃষি ৪৭.৯৬%,কৃষি মজদুরি ২৭.১৮%,দিনমজুর ২.৯২%, ব্যবসায় ৫.৪৪%, মাছ ধরা ৩.৯৬%, চাকুরী ১.৭৪%, অন্যান্য১০.৮%।


জমির ব্যবহার
মোট চাষ উপযোগী জমির পরিমান ৪৫৮৪৩.৭৯ হেক্টর, এক-ফসলী ৬৪.০৬%,দ্বি-ফসলী৪।১৫%, ত্রিফসলী ৩১.৭৯%।


প্রধান শস্য ধান, মিষ্টি আলু, চীনা,বাদাম।
বিলুপ্ত বা প্রায় বিলুপ্ত শস্য চীনা,কাউন।
প্রধান ফল আম,কলা,কাল জাম।

বিদ্যুৎঃ
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিলবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৫৯.৫৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


মাছ চাষ,পশুপালন,পোল্ট্রিঃ
মাছের খামার ২টি,পোল্ট্রি ৪টি, হ্যাচারী ১২টি।


যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ পাঁকা রাস্তা ২কিমি, মাটির রাস্তা ২৭৬কিমি।


ঐতিহ্যবাহী যানবাহন পাল্কি(বিলুপ্ত)।


প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ বাদশাহী মসজিদ এবং দীঘি (ইটনা বড়হাটি)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অফিসার্স ক্লাব ১, যুব সংগঠন ১, মহিলা সংগঠন ১, সাংস্কৃতিক সংগঠন ৫, কমিউনিটি সেন্টার ১।


হাট, বাজার,মেলাঃ মোট হাট বাজার ১২টি,তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ধনপুর,জয়সিদ্ধি, আলোঝুরি, রাশিকুরা; মেলা ৩টি।


প্রধান রপ্তানীজাত পণ্য ধান,আলু,মাছ,বাদাম।
এন.জি.ও কার্যক্রমঃ কার্যত গরুত্তপূর্ন এন.জি.ও গুলো হচ্ছে ব্র্যাক, কনছার্ন, RDP ও UP।


স্বাস্থ্য কেন্দ্রসমূহ: উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১টি, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৪টি।


যেভাবে যাবেন :
সবচেয়ে ভালো হলো ট্রেনে যাওয়া। প্রতিদিন সকাল ৭টায় এগারসিন্দুর প্রভাতি (বুধবার বন্ধ) ছাড়ে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে।  ভাড়া ২০০ টাকা। এ ছাড়া গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া থেকে বিআরটিসি বাসে করেও  যাওয়া যায়। ভাড়া ২০০ টাকা।  শেয়ারে ভাড়া নেবে জনপ্রতি ১০০ টাকা।


কোথায় থাকবেন :
ভাল ও মাঝারি মানে অনেক হোটেল আছে।অনেক ভাল রেষ্টুরেন্ট ও অাছে।




উক্ত তথ্য সম্পর্কে আপনার মাতামত, সংশোধন, পরিবর্ধন বা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে আমাদের কমেন্ট করে জানান।লেখতে গিয়ে ভূল তাকতে পারে।তাই ভূল গুলো জানালে ভল হয়।





Faysal Ahmed Prodip(Himu).

No comments

Thank you for your comment..