কিশোরগঞ্জের জেলার অজানা বিষয় গুলো।
🌍কিশোরগঞ্জ জেলা
🌍বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা
কিশোরগঞ্জ
জেলা। মোট ২৫৬৬ কিমি ২ (৯৯১ ব
জনসংখ্যা (২০১১) [১]
• মোট ৩০,২৮,৭০৬
• ঘনত্ব ১২০০/কিমি ২ (৩১০০/
স্বাক্ষরতার হার
• মোট ৪০.৩%
🌍ভৌগোলিক সীমানা
কিশোরগঞ্জের ভৌগোলিক আয়তন প্রায় ২,৬৮৮ বর্গ কিলোমিটার। এই আয়তনে ১৩টি উপজেলা রয়েছে। এই জেলার উত্তরে নেত্রকোনা জেলা ও
ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণে
নরসিংদী জেলা ও
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা, পূর্বে
সুনামগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা ও গাজীপুর জেলা।
🌍প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
কিশোরগঞ্জে উপজেলার সংখ্যা ১৩টি। যথা:
১.কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা
২.অষ্টগ্রাম উপজেলা
৩.ইটনা উপজেলা
৪.করিমগঞ্জ উপজেলা
৫.কটিয়াদি উপজেলা
৬.কুলিয়ারচর উপজেলা
৭.তাড়াইল উপজেলা
৮.নিকলী উপজেলা
৯.পাকুন্দিয়া উপজেলা
১০.বাজিতপুর উপজেলা
১১.ভৈরব উপজেলা
১২.মিটামইন উপজেলা
১৩.হোসেনপুর উপজেলা
🌍ইউনিয়নে সংখ্যা :১০৬টি
🌍ইতিহাস
কিশোরগঞ্জের ইতিহাস সুপ্রাচীন। এখানে প্রাচীনকাল থেকেই একটি সুগঠিত গোষ্ঠী আছে এবং এখনোও তা বিরাজ করছে। ষষ্ঠ শতকে বত্রিশ এর বাসিন্দা কৃষ্ণদাস প্রামাণিকের ছেলে নন্দকিশোর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন; এ গঞ্জ থেকই কালক্রমে
নন্দকিশোরের গঞ্জ বা 'কিশোরগঞ্জ'-এর উৎপত্তি হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শতকে পাল, বর্মণ ও সেন শাসকরা এ অঞ্চলে রাজত্ব করে। তাদের পর ছোট ছোট স্বাধীন গোত্র কোচ, হাজং, গারো এবং রাজবংশীরা এখানে বসবাস করে। ১৪৯১ সালে ময়মনসিংহের অধিকাংশ অঞ্চল ফিরোজ শাহ-এর অধীনে থাকলেও কিশোরগঞ্জ সেই মুসলিম শাসনের বাইরে রয়ে যায়। পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট আকবরের সময়কালে বেশিরভাগ অঞ্চল মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে থাকলেও জঙ্গলবাড়ি ও এগারসিন্দুর কোচ ও অহম শাসকদের অধীনে রয়ে যায়। ১৫৩৮ সালে এগারসিন্দুরের অহম শাসক মুঘলদের কাছে ও ১৫৮০ সালে জঙ্গলবাড়ির কোচ শাসক ঈসা খাঁর কাছে পরাজিত হয়। ১৫৮০ সালে বার ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁ এগারসিন্দুরে আকবরের সেনাপতি
মান সিংহকে পরাজিত করেন। ঈসা খাঁর মৃত্যুর পর জঙ্গলবাড়ি ও এগারসিন্দুর তার পুত্র মুসা খাঁর অধীনে আসে কিন্তু ১৫৯৯ সালে তিনি মুঘলদের কাছে পরাজিত হন। [২]
অর্থনীতি
🌍কিশোরগঞ্জের অর্থনীতির চালিকা শক্তি অনেকটা হাওরের উপর র্নিভর। যেমন: হাওরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায় যা দেশের চাহিদার লভ্যাংশ পূরণ করতে সক্ষম। তাছাড়া কিশোরগঞ্জে
পাট, ধান এবং অন্যান্য অনেক সবজি হয়ে থাকে যা দেশের বাইরেও রপ্তানি হয়।
🌍 নদ-নদী
১.পুরাতন ব্রহ্মপুত্র
২.মেঘনা
৩.কালনী
৪.ধনু
৫.নরসুন্দা
৬.বাউরি
৭.ধলেশ্বরী
🍟বিখ্যাত খাবার
বালিশ মিষ্টি
✈✈বিখ্যাত স্থান
ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি
এগারসিন্ধুর দুর্গ
কবি চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির
দিল্লির আখড়া
শোলাকিয়া ঈদগাহ
পাগলা মসজিদ
ভৈরব সেতু
হাওরাঞ্চল
সুকুমার রায়ের বাড়ি
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
দুর্জয় স্মৃতিভাস্কর্য
নিকলীর হাওর
সালংকা জামে মসজিদ (পাকুন্দিয়া)
কুতুব শাহ মসজিদ (অষ্টগ্রাম)
জাওয়ার সাহেব বাড়ী (তাড়াইল)
নিরগিন শাহর মাজার
শাহ গরীবুল্লার মজার (পাকুন্দিয়া)
হযরত শামছুদ্দীন বোখারীর মাজার (কটিয়াদী )
মঠখলা কালী মন্দির (পাকুন্দিয়া)
শ্রীশ্রী শ্যাম সুন্দর লক্ষী নারায়ন জিউর আখড়া (সদর)
প্রামাণিক বাড়ী
গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ী
উক্ত তথ্য সম্পর্কে আপনার মাতামত, সংশোধন, পরিবর্ধন বা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে আমাদের কমেন্ট করে জানান।
Edit: Faysal Ahmed Prodip Himu
🌍বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা
কিশোরগঞ্জ
জেলা। মোট ২৫৬৬ কিমি ২ (৯৯১ ব
জনসংখ্যা (২০১১) [১]
• মোট ৩০,২৮,৭০৬
• ঘনত্ব ১২০০/কিমি ২ (৩১০০/
স্বাক্ষরতার হার
• মোট ৪০.৩%
🌍ভৌগোলিক সীমানা
কিশোরগঞ্জের ভৌগোলিক আয়তন প্রায় ২,৬৮৮ বর্গ কিলোমিটার। এই আয়তনে ১৩টি উপজেলা রয়েছে। এই জেলার উত্তরে নেত্রকোনা জেলা ও
ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণে
নরসিংদী জেলা ও
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা, পূর্বে
সুনামগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা ও গাজীপুর জেলা।
🌍প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
কিশোরগঞ্জে উপজেলার সংখ্যা ১৩টি। যথা:
১.কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা
২.অষ্টগ্রাম উপজেলা
৩.ইটনা উপজেলা
৪.করিমগঞ্জ উপজেলা
৫.কটিয়াদি উপজেলা
৬.কুলিয়ারচর উপজেলা
৭.তাড়াইল উপজেলা
৮.নিকলী উপজেলা
৯.পাকুন্দিয়া উপজেলা
১০.বাজিতপুর উপজেলা
১১.ভৈরব উপজেলা
১২.মিটামইন উপজেলা
১৩.হোসেনপুর উপজেলা
🌍ইউনিয়নে সংখ্যা :১০৬টি
🌍ইতিহাস
কিশোরগঞ্জের ইতিহাস সুপ্রাচীন। এখানে প্রাচীনকাল থেকেই একটি সুগঠিত গোষ্ঠী আছে এবং এখনোও তা বিরাজ করছে। ষষ্ঠ শতকে বত্রিশ এর বাসিন্দা কৃষ্ণদাস প্রামাণিকের ছেলে নন্দকিশোর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন; এ গঞ্জ থেকই কালক্রমে
নন্দকিশোরের গঞ্জ বা 'কিশোরগঞ্জ'-এর উৎপত্তি হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শতকে পাল, বর্মণ ও সেন শাসকরা এ অঞ্চলে রাজত্ব করে। তাদের পর ছোট ছোট স্বাধীন গোত্র কোচ, হাজং, গারো এবং রাজবংশীরা এখানে বসবাস করে। ১৪৯১ সালে ময়মনসিংহের অধিকাংশ অঞ্চল ফিরোজ শাহ-এর অধীনে থাকলেও কিশোরগঞ্জ সেই মুসলিম শাসনের বাইরে রয়ে যায়। পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট আকবরের সময়কালে বেশিরভাগ অঞ্চল মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে থাকলেও জঙ্গলবাড়ি ও এগারসিন্দুর কোচ ও অহম শাসকদের অধীনে রয়ে যায়। ১৫৩৮ সালে এগারসিন্দুরের অহম শাসক মুঘলদের কাছে ও ১৫৮০ সালে জঙ্গলবাড়ির কোচ শাসক ঈসা খাঁর কাছে পরাজিত হয়। ১৫৮০ সালে বার ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁ এগারসিন্দুরে আকবরের সেনাপতি
মান সিংহকে পরাজিত করেন। ঈসা খাঁর মৃত্যুর পর জঙ্গলবাড়ি ও এগারসিন্দুর তার পুত্র মুসা খাঁর অধীনে আসে কিন্তু ১৫৯৯ সালে তিনি মুঘলদের কাছে পরাজিত হন। [২]
অর্থনীতি
🌍কিশোরগঞ্জের অর্থনীতির চালিকা শক্তি অনেকটা হাওরের উপর র্নিভর। যেমন: হাওরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায় যা দেশের চাহিদার লভ্যাংশ পূরণ করতে সক্ষম। তাছাড়া কিশোরগঞ্জে
পাট, ধান এবং অন্যান্য অনেক সবজি হয়ে থাকে যা দেশের বাইরেও রপ্তানি হয়।
🌍 নদ-নদী
১.পুরাতন ব্রহ্মপুত্র
২.মেঘনা
৩.কালনী
৪.ধনু
৫.নরসুন্দা
৬.বাউরি
৭.ধলেশ্বরী
🍟বিখ্যাত খাবার
বালিশ মিষ্টি
✈✈বিখ্যাত স্থান
ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি
এগারসিন্ধুর দুর্গ
কবি চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির
দিল্লির আখড়া
শোলাকিয়া ঈদগাহ
পাগলা মসজিদ
ভৈরব সেতু
হাওরাঞ্চল
সুকুমার রায়ের বাড়ি
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
দুর্জয় স্মৃতিভাস্কর্য
নিকলীর হাওর
সালংকা জামে মসজিদ (পাকুন্দিয়া)
কুতুব শাহ মসজিদ (অষ্টগ্রাম)
জাওয়ার সাহেব বাড়ী (তাড়াইল)
নিরগিন শাহর মাজার
শাহ গরীবুল্লার মজার (পাকুন্দিয়া)
হযরত শামছুদ্দীন বোখারীর মাজার (কটিয়াদী )
মঠখলা কালী মন্দির (পাকুন্দিয়া)
শ্রীশ্রী শ্যাম সুন্দর লক্ষী নারায়ন জিউর আখড়া (সদর)
প্রামাণিক বাড়ী
গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ী
উক্ত তথ্য সম্পর্কে আপনার মাতামত, সংশোধন, পরিবর্ধন বা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে আমাদের কমেন্ট করে জানান।
Edit: Faysal Ahmed Prodip Himu
Post a Comment