সিভি তৈরী করা সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ -নতুনদের জন্য
দুটো কারণে এই লেখাটি লিখতে হলো; এক. ফেসবুকে একটি পোস্টে দেখলাম বিশ্বের সেরা ১০টি সিভির ফরম্যাট দেওয়া হয়েছে, যা দেখে রীতিমতো চমকে উঠলাম, কেন না সিভিগুলো ছিল উন্নত দেশগুলোর হাই প্রোফাইল জব হোল্ডারদের, যা অনেককেই বিভ্রান্তিতে ফেলে দিতে পারে; দুই. কয়েকজন ইনবক্স করেছেন তাদের সিভিটি দেখে কোথাও কোনো ভুল আছে কিনা জানাতে।
প্রথমে ভাবলাম সহযোগিতা করি, পরে মনে হলো, আজকের এই সহযোগিতা বাকি জীবনের জন্য তাদের আত্নবিশ্বাসহীনতায় ভুগতে সহযোগিতা করবে এবং সবসময়ই তারা এই জাতীয় বিষয়ে সহযোগিতার জন্য অন্যের দারস্থ হবে, তার চেয়ে বরং প্রয়োজনীয় কিছু নির্দেশনা (যা আমি জানি বা আমার মনে হয়েছে শেয়ার করা যায়) শেয়ার করি, যা তাদের কাজে আসবে এবং তারা যদি সত্যিকার অর্থেই বিষয়টি নিজে করতে চায় ও সিভি লেখার বিষয়টি শিখতে চায়, তবে আমার বিশ্বাস এই পোস্টটি তাদের সহায়ক হবে। তবে একটি কথা সবসময় তাদের স্মরণে রাখতে হবে, একটি বিষয়ে প্রাথমিক আইডিয়া বা ধারণা আপনাকে কেউ দিতে পারে, কিন্তু সেখান থেকে নতুনতর আইডিয়ার দিকে নিজেকে নিজেই নিয়ে যেতে হবে আর এই বিষয়টিতে কেউ আপনাকে সহযোগিতা করতে পারবে না কিংবা আশা করা হবে চরমতম ভুল। বিষয়টি অনেকটাই এমন, একজন মালি তার ফুলগাটিকে সুন্দরভাবে বিকশিত করার জন্য, ফুল ফোটার জন্য সার-পানি-জল দেয়, আগাছা মুক্ত রাখে, কিন্তু বেড়ে উঠার ও ফুল ফোটানোর কাজটি গাছের নিজেকেই করতে হয়।
১. কারও সিভি থেকে হুবহু কোনো কিছু কপি পেস্ট করবেন না বরং আপনার ক্ষেত্রে যা বাস্তব ও সঠিক, কেবলমাত্র সেটিই তুলে ধরুন, এক লাইনও বানিয়ে বা অতিরিক্ত লিখবেন না। কারণ মনে রাখবেন, আপনার ইন্টারভিউ যিনি নেবেন তিনি সাধারণত আপনার চেয়ে অভিজ্ঞ ও এই সকল বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন, ফলে সেই একটি লাইনও তার নজর পড়ে যেতে পারে ও আপনাকে আটকে দিতে পারে।
২. সিভিতে বিভিন্ন প্রকার ডিজাইন, প্যাটার্ন, শ্যাডো, দৃষ্টিনন্দন ফন্ট, ফন্টের নানারূপ আকার—দয়া করে এইসব করা থেকে বিরত থাকুন। একটি কমন ফন্ট যেটা বরং সিভির টেক্সটগুলো সহজেই পড়তে সহায়ক, সেটি ব্যবহার করুন। তাছাড়া, এমন কোনো ফন্ট ব্যবহার করবেন না, যেটি অন্য পিসিতে ডিফল্ট হিসেবে নেই, নতুবা অনেক সময় আবেদনের জন্য পাঠানো ফাইল অন্য কম্পিউটারে ওপেন করলে পড়া যায় না বা ফন্ট ভেঙ্গে-চুরে এমন অবস্থা দেখাতে পারে, যা আপনার সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নেতিবাচক ধারণা প্রদান করবে।
৩. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কাছে মুখ্য বিষয়, আপনি নিশ্চিত থাকুন, একজন এইচ.আর. কর্মকর্তা খুব বেশি হলে আপনার সিভিতে ১৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের বেশি চোখ বুলাবেন না এবং আপনার জন্য সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হলো, সেই স্বল্প সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মনোযোগ দাবী করা, যাতে তিনি আপনার সিভিটি শর্ট লিস্ট ফোল্ডারে সরিয়ে রাখেন এবং পরবর্তীতে বিস্তারিতভাবে পড়তে বাধ্য হোন। আমার ধারণা, চাকুরীর জন্য আবেদন করা, ইন্টারভিউ কল পাওয়া ও নিয়োগের জন্য নির্বাচিত হওয়া—এই প্রক্রিয়াগুলো মধ্যে সবচেয়ে কঠিনতম বিষয় হলো সিভি সর্টিং করতে থাকা কর্মকর্তার সেই ১৫-৩০ সেকেন্ড অধিকার নেওয়া (যদিও এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে এইচ.আর. বিভাগের কাজের চাপের দরুণ এই সময় ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের বেশি হয় না আর সেবসব প্রতিষ্ঠানে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে আরও বেশি সচেতন ও সাবধানী হতে হয়। প্রয়োজনে সেসব প্রতিষ্ঠানে আবেদনের আগে নতুন করে সিভি এডিট করে তারপর আবেদন করতে পারেন )।
৪. একই ছবি বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না (আমি নিজেও যে এই অপরাধে দোষী, সেটি অস্বীকার করব না। কিন্তু অনেক পরে হলেও জেনেছি, প্রফেশনাল কাজে ব্যবহৃত ছবি অবশ্যই বছরে একবার আপডেট করা জরুরী)। যদি সেটি সম্ভব নাও হয় বা ভুলে যান, তবে অনুরোধ করব দেড় বছরের পুরেনো ছবি কোনো অবস্থাতেই ব্যবহার করবেন না। ছবি অবশ্যই ল্যাব প্রিন্ট নেবেন। চারপাশে যেসব লোকাল স্টুডিও আছে, তারা কম্পিউটার প্রিন্ট দেয়, যাতে ছবির কালার যেমন ঠিক থাকে না, তেমনি সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। সর্বোপরি অপরিচ্ছন্ন, আবছা, পুরোনো ছবি থেকে ছবি রিপ্রিন্ট করবেন না, যাতে ফটোশপে এডিট করার ফলে, আপনার মুখোমন্ডল বদলে যায়। আপনার ছবিটি তাই আপডেট রাখুন এবং পরিস্কারভাবে বোঝা যায় এমন ছবি সংযুক্ত করুন।
৫. আপনার সিভিটি শুধু দেশী জব পোটালগুলোতে নয় বরং বিদেশি জব পোর্টলাগুলোতেও আপলোড করুন, এতে সিভি আপলোড করার সময় আপনি জেনে যাবেন ইন্টারন্যাশনাল প্রেক্ষাপটে সিভিগুলো কেমন হয় বা তারা কিভাবে তা চায়। এছাড়া অনেক দেশী ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনগুলোর ওয়েবসাইটে জব সেকশনে সিভি আপলোড করার অপশন থাকে। আপনি সময় নিয়ে মেজর সব কোম্পানীরগুলোর (যেমন টেলেকমিউনিকেশন কোম্পানীগুলো, বিট্রিশ আমেরিকান টোবাকো, নেসলে বাংলাদেশ, সকল এন.জি.ও., ইউনিলিভার বাংলাদেশ, বিট্রিশ কাউন্সিল—এসব কোম্পানীগুলো) সাইটে গিয়ে আপনার সিভিটি আপলোড করুন। বিশ্বাস করুন, প্রফেশনাল জীবনে যতগুলো কাজ আছে, যা করতে আমি চূড়ান্তভাবে করতে অপছন্দ করি, তার মধ্যে এই কাজটি অন্যতম, কেন না কাজটি এত সময় সাপেক্ষ ও বিরক্তিকর। একটার পর একটা ওয়েব ফর্ম পূরণ করতে হয়। তারপরও আমি কাজটি শুধু দেশি কোম্পানীতে, বরং বিদেশি অনেক কোম্পানী ও বিখ্যাত অনেক জব পোর্টালেগুলোতে করেছি বা আজও করি। কিংবা অন্যভাবে বলা চলে, যেখানে যখন আমি আমার সিভি আপলোড করার অপশন পেয়েছি, আমি সেটি করেছি, ফলে আমি জেনেছি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একটি সিভিতে সবাই কোন কোন অংশগুলোকেই প্রাধান্য দেয়। সবসময় যে আপনি ইন্টারভিউ কল বা জব অফার পাবেন, এমন আশা থেকে কিছু করবেন না, বরং কিছু কিছু কাজ লাগাতার করতে করতেও আপনার এক ধরনের দক্ষতা তৈরী হয়, যা বরং আপনাকে আরেকধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
৬. যে সাইটেই আপনার সিভি আপলোড করুন না কেন, সেখানে থেকে দেওয়া আইডি ও পাসওয়ার্ড আপনি অবশ্যই কোথাও লিখে রাখবেন, যাতে পরবর্তীতে সেই কোম্পানীতে কোনো জব সার্কুলার হলে আবেদন করার পুনরায় আপনাকে সিভি আপলোড করতে না হয়।
৭. চাইলে সিভির শুরুতেই Objectives অংশটি বাদ দিতে পারেন। ব্যক্তিগতভাবে এই অংশটি আমি কখনোই পড়ি না, বিশেষ করে নতুনদের জন্য এই অংশটি আমার কখনোই জরুরী মনে হয় নি। বরং আমার মনে হয়েছে লক্ষ লক্ষ সিভিতে বর্ণিত এই অংশটুকু থেকে কোনো এইচ.আর. কর্মকর্তা সুনির্দিষ্ট কোনো ধারণায় পৌঁছাতে সক্ষম নন, বিশেষ করে আমাদের মতো দেশে তো নয়ই। সুতরাং আমি বলব, এই অংশটা পরিহার করুন এবং Key Skills বা Key Strengths দিয়ে শুরু করুন। তবে একগাদা পয়েন্ট উল্লেখ করবেন না। আপনি নিজে যে বিষয়গুলোতে দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী, এমন ৪/৫টি বিষয় উল্লেখ করলেই চলবে।
৮. পরের অংশটি শুরু করুন আপনার সর্ব্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা ও যে বিষয়ে মেজর করেছেন সেটি উল্লেখ করুন। যোগ্যতার সাথেই সালটি উল্লেখ করুন, যেমন MBA (Marketing), 2010, এরপর যে প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেছেন তার নাম ও রেজাল্ট। যদি আপনার মনে হয়, এই অংশে আরও কিছু বিষয় যোগ করলে (যেমন কোনো বিশেষ অর্জন বা পুরস্কার), আপনার সম্পর্কে উচ্চতর ধারণা তৈরী হবে, তবে তা যুক্ত করুন। কিন্তু অযথাই লাইনের পর লাইন লেখার প্রয়োজন নেই।
৯. পরের অংশটিতে আমি বরং প্রফেশনাল শিক্ষাগত যোগ্যতার উল্লেখের প্রতি গুরুত্ব দেব। নতুন হিসেবে আপনার প্রফেশনাল যোগ্যতা থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই, কিন্তু যদি থাকে তবে সেটি আলাদাভাবে শিক্ষাগত যোগ্যতার পরপরই উল্লেখ করা ভাল।
১০. কম্পিউটার লিট্যারেসি বা টেকনিক্যাল কোনো সক্ষমতা উল্লেখ করার সময় খুব সতর্ক থাকবেন। আমি অনেক প্রার্থীকে এই প্রশ্নটি করে দেখেছি—‘মাইক্রোসফট এক্সেলে এ আপনার দক্ষতা কেমন? যদি দক্ষতার বিচারে ১০ নম্বরের মধ্যে নম্বর দিতে বলি, তবে নিজেকে কত মার্ক দেবেন’? এমন প্রশ্নের উত্তরে ৯৯% প্রার্থীরাই নিজেকে ৮ বা ৮ এর অধিক নম্বর দিয়েছে, যা বরং তাদের কান্ড-জ্ঞানহীনতারই প্রকাশ ঘটায়। কারণ তারা মনে করেন কম্পিউটার লিটারেসি মানে জিমেইল, ফেসবুক, হোয়াটস এ্যাপ, ভাইবার, ইমো এগুলো চালাতে পারা, মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে টাইপ করা, পাওয়ার পেয়ন্ট স্লাইড তৈরী করা ও এক্সেলে যোগ-বিয়োগ-গুন-ভাগ করা ও কিছু সূত্র জেনারেট করা। কিন্তু আসলেই কি তাই? বস্তুত, মাইক্রোসফট এক্সেলে দক্ষতার বিচারে কেউ যদি ১০ এর মধ্যে ৮ পায়, সে রীতিমতো মাস্টার এই অফিস প্রোগ্রামে। যাই হোক, আপনারা বরং গুগল করে জেনে নিন, এভভান্সড লেভেলে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, এক্সেলে কি কি কাজ করা হয়। যদি আপনি সেগুলো আগেই করে থাকেন, তো ভাল, নতুবা যেগুলো জানা প্রয়োজন, সেগুলোর ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পর্কে পড়াশোনা করুন, দেখবেন আপনি আপনার চিরাচরিত জানা-শোনার বাইরে চলে এসেছেন এবং নতুন কিছু জানার আগ্রহ আপনাকে তাড়িত করছে। যেমন, মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহার শুরুর ৫ বছর পর জেনেছিলাম Macros ও OCR কি, অথচ তার আগ পর্যন্ত বিশ্বাস করতাম, যে আমি মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে যথেষ্ট ভাল আর আজ এতগুলো বছর কাজ করার পরও কেউ যদি আমাকে দক্ষতার বিচারে মাইক্রোসফট অফিসে ১০ এর মধ্যে নম্বর দিতে বলে, তবে নিজেকে ৬ অধিক নম্বর দিতে বুক কাঁপবে।
১১. যদি আপনার পড়াশোনার পাশাপাশি আলাদা এক্টিভিটিস থাকে, যেমন সামাজ-সেবা মূলক কাজে যুক্ত থাকা, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া, খেলা-ধুলায় পারদর্শিতা, প্রজেক্ট ডিজাইন করা বা লিড দেওয়া—এসব বিষয়গুলো যোগ করতে পারেন। থাকতেই হবে তার কোনো মানে নেই, তবে থাকলে আপনার শারীরীক ও মানসিক সক্ষমতার দিকটি তুলে ধরে, যা কিনা ভবিষ্যত লিডার হিসেবে আপনার প্রাথমিক যোগ্যতার সম্ভাবনা তৈরী করে।
১২. সিভিতে অনেকেই দেখি ঠিকানাসহ সমস্ত কিছুর বিবরণ দিয়ে রাখেন। এমন কি ধর্ম পর্যন্ত। অত কিছু না দিয়ে নিজের, বাবার ও মায়ের নাম দিন। জন্ম তারিখ (সাথে বয়স লিখে দিন, কারণ অনেক সময় যিনি সিভি দেখছেন তিনি আপনার জন্মসাল থেকে বর্তমান সময় বিয়োগ করে আপনার প্রকৃত বয়সটি বের করতে অপছন্দ করেন), বৈবাহিক অবস্থা লিখে সিভি শেষ করে দিন। স্বাক্ষর না হলেও চলবে, কেন না ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে পাঠানো সিভির ক্ষেত্রে আপনার ইমেইল আইডিটিই স্বাক্ষর এর কাজটি করে থাকে, যদি তা সিভিতে উল্লেখ থাকে।
১৩. সিভিতে রেফারেন্স দেবার দরকার নেই। যদিও জানি, এই উপদেশ দেওয়াটা রীতিমতো ভুল পরামর্শ দেওয়ার মতো ব্যাপার, কেন না আমি নিজেও এমন শত শত কোম্পানীতে আবেদন করেছি বা এখনও করি, যেখানে আবেদনের সময় স্পষ্টভাবেই রেফারেন্স চায় আমি নিজেও দিয়ে থাকি (অবশ্য না চাইলে রেফারেন্স আমি কখনোই দিই না)। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিষয়টি এভাবেই চলতে থাকবে আরও কয়েক দশক, কেন না আমরা পরিবর্তন এর জন্য সন্মিলিতভাবে কাজ করি না, ফলে পূর্বের প্রচলিত নিয়মটিকেই অলিখিত সত্য রূপে যুগের পর যুগ মেনে চলি, অথচ উন্নত দেশগুলোতে অনেক আগে থেকেই সিভিতে রেফারেন্স উল্লেখ করা হয় না, বরং সিভির শেষে এই ছোট্ট বাক্যটি লেখা থাকে, ‘References available upon request’ । তারপরও বলব, সুনির্দিষ্টভাবে না চাইলে আবেদন করার সময় রেফারেন্স দেবার দরকার নেই। একজন প্রার্থী যতক্ষণ পর্যন্ত না চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হচ্ছেন, তার আগ পর্যন্ত তার সিভিই যথেষ্ট তার স্বপক্ষে কথা বলার। যদি তার বাইরে কেউ কিছু আগাম বা বাড়তি চায়, তবে এই বিষয়টিই নিশ্চিত করে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যথাযথ বা স্ট্যান্টার্ড এইচ.আর. ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা রাখেন না এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তিনি দায়বদ্ধতা অনুভব করেন না।
১৪. সিভি যথাসম্ভব ১ পাতার করুন, কেন না একজন ফ্রেশার এর সিভি ১পাতার অতিরিক্ত হবার সম্ভাবনা নিতান্তই কম এবং সেটি ব্যতিক্রম ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়। আমার কাছে যে কারও সিভি সবোর্চ্চ ২ পাতার অধিক হতে পারে না, যদি না বিষয়টি এমন এমন পজিশনের জন্য হয়, যেখানে বিস্তারিত বর্ণনাসহ সিভি চাওয়া হয় ও তা থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সার্বিক প্রফেশনাল জীবন ও কাজ সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। এই পজিশনগুলো হয় টপ মোস্ট সিনিয়র পজিশন এবং তাদের দায়-দায়িত্ব হয় সেনসেটিভ ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
১৫.সিভিতে কোন কিছু বিন্দুমাত্র বাড়িয়ে বলবেন না, কেন না আপনি আপনার দেয়া তথ্যর উপর ভিত্তি করে হঠাৎ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লে উতরে যেতে পারবেন না, অথচ আপনার লক্ষ্য সবসময় এই থাকবে, আপনার দেওয়া তথ্যর উপর ভিত্তি যেভাবে বা যে পরিস্থিতিতেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হোক না কেন, আপনি চ্যালেঞ্জকারীকে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করতে সক্ষম হবেন যে, আপনি বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেন ও জ্ঞান রাখেন।
পরিশেষে আমার কাছে একটি যথার্থ সিভি সেটিই, যেটাতে প্রাথমিকভাবে চোখ বুলালেই বুলেট পয়েন্টগুলো অনাসায়েই মার্ক করা যায় ও কাঙ্খিত যোগ্যতাগুলোর সাথে মিলিয়ে নিয়ে সিভিটিকে আলাদা করে রাখতে ও পরবর্তীতে মনযোগ সহকারে পড়তে হতে হয়।
Post a Comment