Header Ads

test

বেকারত্বকালীন সময়ে কর্মক্ষম থাকার ৪ টি উপায়ঃ

বেকারত্বকালীন সময়ে কর্মক্ষম থাকার ৪ টি উপায়ঃ



বেকারত্ব কখনই একজন মানুষের জন্য ভাল সময় নয়, এই সময়ে আপনি বিষন্নতায় ভুগতে থাকেন ফলে মানসিক মনোবল হারাতে বসেন অনেকেই। আজ আমারা এমন কিছু পরামর্শ নিয়ে আপনার পাশে এসেছি যার মাধ্যমে বেকারত্বকালীন সময়ে আপনি আপনার মনোবল না হারিয়ে বরং কর্মক্ষম থাকার অনুপ্রেরণা পাবেন।

ইতিবাচক থাকুনঃ

আমরা নশ্বর পৃথিবীতে বাস করি, তাই সব কিছুরই শেষ আছে। আর আপনার বেকারত্বের ও অবশ্যই শেষ আছে। তার জন্য দরকার আপনার উদ্দ্যম ও দৃঢ় মনোবল, যা ইন্টারভিউ এ আপনাকে সাহায্য করবে আপনার সাবলীলতার ও নিজের কর্মদক্ষতার উপস্থাপনা করতে, ফলে সহজেই নিয়োগকর্তার সু দৃষ্টি আপানার উপরে পড়তে বাধ্য। সবসময় ইতিবাচক থাকার জন্য নিজেকে চেষ্টা করুন বেশির ভাগ সময়ে ব্যস্ত রাখার। যখনই আপনি অলস সময় কাটাবেন, ব্যর্থতা আর বিষন্নতা আপনার মনোবল কে ভেঙ্গে দেয়। অলস সময়ে ফোনে কথা বলতে পারেন‌ এর ফলেও কিন্তু আপনার মনোবল কমে যাবে না। নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনার কি করতে ইচ্ছা করছে, কোথায় যেতে ইচ্ছা করছে, যা ভাল লাগে সেটাই করুন। আপনার মনোবলকে কোনভাবে হারাতে দেবেন না।

রুটিন তৈরী করুনঃ

কর্মক্ষম ও ইতিবাচক এই দুইই আপনাকে সাহায্য করবে, কিন্তু এর সাথে নিজের সময়সূচী নির্ধারন করে নেয়াটাও কিছু প্রয়োজন। নিজেকে সব সময় কর্মক্ষম ও অনুপ্রাণিত করতে একটি নির্দিষ্ট  সময়সূচী আপানাকে যে কোন কাজ করার নির্দেশ প্রদান করে থাকে। চেষ্টা করুন প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ার, স্বাস্থ্যকর নাস্তা করুন,  দাঁত ব্রাশ করুন, পরিপাটি হয়ে আপানার কাঙ্খিত চাকরী খুঁজতে থাকুন। দিনের কতটূকু সময় চাকরী খোঁজার জন্য ব্যয় করবেন তা আগে থেকেই নির্ধারন করে রাখুন, সেই সাথে আপনার আনুসংগিক কাজ যেমন ঘর পরিষ্কার করা, খাবার তৈরি করা, ইত্যাদি কোন সময়ে করবেন সেটাও নির্ধারন করে রাখুন। আপনি দিনের ভেতরই সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন যখন সকল কাজের জন্য একটি সময়সূচী নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। এতে করে আপনার কঠোর মনোবল তৈরি  হবে, সে সাথে সময় সু-শৃঙ্খলা সম্পর্কে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।

দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি করুনঃ

চাকরী খুঁজতে নিশ্চই দিনের পুরোটা সময় পার করবেন না। কেননা একই চাকরীর বিজ্ঞপ্তি দিনে একাধিক বার প্রচার  করা হয় না, আর আপনি নিজের ধৈর্য ও হারাবেন। খুব ভাল হয় যদি দিনের বাকিটা সময় অর্থপূর্ণ কোন কাজে ব্যয় করেন, যেমন নতুন দক্ষতা অর্জন অথবা অজানা বিষয়ে নতুন করে জানা। সময়সূচী নির্ধারণ করুন। দিনের যে কোন সময়ে অনলাইন এর মাধ্যমে এ কোর্স সমূহে যোগ দিয়ে পারেন। নতুন বিষয়ে জ্ঞানার্জন আপনাকে ব্যস্ত রাখবে আর মনোবল কে শক্ত করে তুলবে।

নেতিবাচক প্রভাব এরিয়ে চলুনঃ

বেকারত্বকালীন সময়ে দু ধরনের প্রভাব এর সম্মুখীন আপনি হতে পারেন। ইতিবাচক ও নেতিবাচক। অবশ্যই নেতিবাচক প্রভাব কে এড়িয়ে চলুন। তবে মাঝে মাঝে নেতিবাচক ব্যক্তি আপনাকে সঠিক পথ দেখাতেও সাহায্য করবে। নিয়োগদানকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন, তাদের সাথে আপনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন সেই সাথে আপনার বেকারত্ব এর ব্যাপারটি নিয়েও কথা বলতে পারেন। এমন ও হতে পারে তার মাধ্যমে আপনি নতুন কোন চাকরীর সু্যোগ সম্পর্কে জানতে পারলেন।
আশা করছি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি চাকরীর অনুসন্ধান করতে আপনাকে উতসাহিত করবে, এছাড়াও এভারজবস বাংলাদেশের টপ কোম্পানীর চাকুরীর সন্ধান দিয়ে থাকছে যা আপনার চাকরী খোঁজার পথটিকে আরো সহজ করে দেবে।

No comments

Thank you for your comment..